নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে ফেসবুকে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। সোমবার সকালে ওই যুবককে নাটোর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রোববার গভীর রাতে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে জেলার লালপুর উপজেলার দাইড়পাড়া এলাকা থেকে আটক করে।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান (৩১) জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈর দক্ষিণপাড়ার আফসার সরদারের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, প্রায় আট মাস আগে এক নারীর সঙ্গে মিজানুর রহমানের পরিচয় হয়। মিজানুর রহমান বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক আইডিতে পুলিশের ছবি আপলোড করে নিজেকে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দেয় এব নিয়মিত ওই নারীর সঙ্গে ফেসবুকে চ্যাটিং করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের।
পরে একপর্যায়ে সে মেয়েটির কাছ থেকে কৌশলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সংগ্রহ করে। সেই ছবিকে পুঁজি করে মিজানুর শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য কুপ্রস্তাব দেওয়া শুরু করে। ভিকটিম তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে।
বাধ্য হয়ে মেয়েটি কয়েক দফায় তাকে এক লাখ ২০ হাজার টাকাও প্রদান করে। গোপন ছবি ফেরত দেওয়ার কথা বলে গত ১২ মে ১১টার দিকে মিজানুর রহমান ওই নারীর বাড়িতে আসে।
বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে মিজানুর রহমান ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। এদিন ভিকটিমের কাছ থেকে আরও ৫ হাজার টাকা নেয়। এর পরও মিজানুর টাকা দাবি করতে থাকলে একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে গত ১৯ জুন ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩) এর ৯(১) তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩/২৪/২৫/২৯ ধারায় মামলা করেন।
মামলার খবর জানতে পেরে মিজানুর রহমান গ্রেফতার এড়াতে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা লালপুর উপজেলার দাইড়পাড়া এলাকা থেকে মিজানুর গ্রেফতার করে।
নাটোর থানার ওসি নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.